Skip to main content

Posts

Music of Memories

Recent posts

চৈত্রে সংক্রান্তি!

শর্টকার্ট বাজার আর চালু রান্নার চিন্তা নিয়ে বাজারে গেলেও, নজরকাড়া সবুজের কচি পুঁইশাকের টসটসে আঁটিটা দেখে পা যেন ওখানেই আটকে গেলো। প্রথম দেখায় প্রেমে পড়ার মতো। নতুন বাসায় আসার পর, কাঁচা বাজারে এখনো পা রাখা হয়নি। অবশেষে সারাদিন ঘুমিয়ে পেটে যখন ছুঁচোর কের্তন শুরু হলো, উঠে চোখেমুখে পানি দিয়ে, ঝিমাতে ঝিমাতে মানিব্যাগ হাতে নিয়ে গেঞ্জিটা গায়ে চাপিয়ে নীচে নামলাম। মাসের শুরু হলেও, মানিব্যাগের অবস্থা শোচনীয়। ভাবতে লাগলাম কি কেনা যায়, যাতে করে এই মাসে ৩/৪ বার রান্না করা যাবে এই এক বাজারেই। ভাবলাম মুরগী/গরুর মাংস নিয়ে নিব, ল্যাঠা চুকে যাবে। কিন্তু খুব সব্জিটব্জি খেতে ইচ্ছে করলো, সারা সপ্তাহ বিফ/চিকেন খেয়ে মুখে অরুচি চলে আসছে রিতীমতো। সারা মাসে ৩/৪ বার রহস্য হচ্ছে প্রতি সপ্তাহে আমি একদিন রাঁধি, দুইদিন খাই। আর সাধারণত দিনে একবেলা খাই। এখন এই একবেলা খাই শুনে আপনার কল্পিত "ডায়েট"এর ধারণাকে প্রশ্রয় দেবেননা। এটা আসলে রান্নার আলসেমির কারণে। সপ্তাহের ৫ দিন আপিসে লাঞ্চ দেয়, সাথে দেয় টুকটাক নাস্তা, আর যত মন চায় তত চা/কফি। রুটিন এমন হয়েছে যে, খাই কেবল যতক্ষন কাজের মাঝে থাকি। বাসায় ফিরে ঘুম, ঘুম থেক

রিধি'র গোলাপীতোয়ালে

ঢাকাকে সবাই দূর ছাই ভাল্লাগেনা শহর বলে সবসময় হৃদয়ের দূরত্বে রাখলেও, রিধি'র কাছে ঢাকে আপনই লাগে। ওর কাছে মনে হয় হাজার হাজার মানুষের বুকে পুষে থাকার পরও, ঢাকা যেন রিধি'র মতোই ভীষণ নিঃসঙ্গ, একা, বাৎসল্যহীন। মেঘের মতো তাদের জীবনে আসে, জীবনরস আস্বাদন করে, তারপর আবার হাওয়ায় ভেসে চলে যায়। মাঝখানে পরে থাকে কেবল কিছু অনাদর, অবহেলায় ফেলে যাওয়া বাক্সবন্দী স্মৃতি। তবে এই যেমন রিধি বৃষ্টিতে কাদা প্যাচপ্যাচে, নর্দমার আবর্জনা উঠে আসা, গরমে চরমে ওঠা জীবন, ভীড়, রুক্ষ হবার পরও এই ঢাকাকে ভালোবাসে, তেমনি রিধির জীবনেও আছে কিছু ব্যতিক্রম। সম্ভব এই ব্যতিক্রমগুলোই জীবনকে খানিকটা সহনীয় করে তোলে। যদিও " কেন ওরা থেকে যায়? " এই প্রশ্ন বারবার করেও সে এর উত্তর পায়না, তবুও সে পুরোপুরি গ্রগণও করতে পারেনা। একবার তার জীবনে জবরদস্তি ঘাঁটি গড়া এক বুনোফুলট বলেছিলো, " তুমি শূন্যতা বোঝো সই? " রিধি ভ্রু কুঁচকে কতক্ষন ভাবার চেষ্টা করলো, তারপর কোনো কিছু কল্পনা করতে না পেরে জানালো  "না!" বুনোফুল হেসে বলেছিলো, " তা বুঝবে কিভাবে, তুমিতো কাউকে বুকের ভেতরে টানোনি কখনো। সবসময় নিরাপদ দূরত্বে

এই যে ক্ষণিকা শোনো...

  মানুষকে নিয়ে গল্প জুড়তে আমার জুড়ি নেই। মানে একেবারে যাকে বলে, বলা মাত্রই লিখে ফেলবো কিছু একটা। সাহিত্য অবশ্যি হবেনা কিন্তু গল্প হয় বৈকি। বিশেষ করে মানুষের প্রেম, জীবন, দর্শন নিয়ে আমার লিখতে বেশ লাগে। আমি দারুণ এক শ্রোতা। এত চমৎকার একটা আবহ দিয়ে যে দুদিনের পরিচয়ের মানুষও আমার কাছে তাদের গল্পের ঝুলি খুলে বসে যেটা হয়তো তাদের খুব আপন মানুষটিও জানেনা। যদিও পরবর্তীতে তাদেরকে সান্ত্বনা স্বরূপ বলা আমার নিখাঁদ সৎ মন্তব্যকে কেন্দ্র করে বেশ বিড়ম্বনায় পড়তে হয়, তবুও কেউ আমার কাছে এলে, কখনো "না" বলতে পারিনা। কথা বলতে না পেরে হাঁসফাঁস করা মানুষগুলোর জন্য আমার ভীষণ মায়া হয়। খুব কাছ থেকে মানুষের গল্প শুনলে বুঝা যায়, আমরা কত ক্ষুদ্র দর্শনকে জীবন ধরে নিয়ে দিনানিপাত করছি। যখন উচ্চমাধ্যমিকে পড়তাম হঠাৎ একবার খুব কবিতা লেখবার ঝুম ওঠে। আদপে কবিতাতো নয়, ওটাকে কোবতে বলাই শ্রেয়! ক্লাসে আমার কোনো নির্দিষ্ট সখা-সখী'র দল ছিলোনা অমনা। আমি ছিলাম সবার সাথী ধরণের। কেউ আমার জন্য বেঞ্চে জায়গা রাখবে, অন্যকে বসতে দেবেনা, আমার জন্য টিফিনের সময় অপেক্ষা করবে অমন বন্ধু বান্ধব আমার ছিলোনা। এতে বরং আমি বেশ আরামেই

Fathers of EAST and Father's of WEST

  The other day my dear friend was expressing with a tender heart that the trip he will be going with his daughters will perhaps be the last trip of them together. Because she will be a teen-adult soon and plausibly will go to trips with her friends from then on as the tradition in the west is. Though he said he has made the girls ready possibly capable in everyway, so when time comes for them to depart from the nest, they can fly high and mightily. He has also perhaps been mentally preparing himself for accepting the fact as possibly naturally as inevitable it is; however, still undeniably saddening. I can assume, he has also been attempting to creat as much sweet memories as he can while they are home. I wonder if his efforts to be the best man in their loves will ever comprehended by them. I wonder whether they will be able to perceive what it means to own a father like that. As well, will they ever be able to construe what it takes for him to be a father like that, and that just be

Perception of ownership

  Being overly considerate can be perceived as nonchalance or indifference. Unerring perception of "ownership" in a relationship that is attained and not gained by blood rights sure is infuriating and serpentine, which is equally brittle to any foray. However, being overly conscious or thoughtful about it can too cause a scratch despite the form of compassion. That is said, if it is not imparted avowedly, your act of judiciousness can be misconstrued at times. Sometimes possession is owned without saying out loud, specifically in a relationship (not just in love relations but any kind of romantic one, which is not "specified by nature". To be more precise, relationships which are built, acquired over the time and not provided by nature or blood, like friends, benevolent, colleagues etc. If you develop a relationship over time, I believe it is up to you of how much possession you want to have in that other person's life, the rights. Rights to intervene, right to

দ্বিরাগমন।

  হৃদয়ে এক প্রচন্ড আলোড়ন তুলেছিল বুদ্ধদেবের " সবিনয় নিবেদন।" কৈশোর আর তারুণ্যের মাঝখানের সময়টাকে রাজর্ষী যেভাবে একান্ত নিজের করে ষোলোআনা অধিকার করে নিয়েছিল, সে আলোড়ন উথলে উঠে একসময় থিতিয়ে এসেছিল। সেই আলোড়ন তোলা আমার প্রথম প্রতিশ্রুতি, অজ্ঞাতনামা রাজর্ষির তরে অজ্ঞাতকুলশীলা হয়ে বাঁধা পড়ার সে প্রথম আবেদন, প্রথম নিবেদন। সে অপেক্ষায় কেটে যায় অনেকটা কাল, তবুও মনে হয় এই এক জনম আমার, তার প্রতিক্ষাতেই থাক। এ প্রহর অবলা অবহেলায় মিইয়ে যাওয়ার অভিমানে জমে যাক, জমে যেয়ে আমার কালে'র দেয়ালে কেবলই রাজর্ষি লেপ্টে থাক। সে শ্রান্ত হয়ে আসা দীঘির জলে অমন প্রাণ মোহনী আলোড়ন আর কোনো প্রেম তুলতে পারেনি। সেই বহু বছরের হারিয়ে যাওয়া, থিতিয়ে শান্ত হয়ে আসা ঝড় যেন আবার অল্প করে আরেকটি ঝড়ো হাওয়ার আভাস পেল এত বছর বাদে এসে। হালকা হোক, তবুও আলোড়ন তুলতে অব্যর্থ। আশাপূর্ণা দেবীর  "প্রথম প্রতিশ্রুতির"  একটা লাইনও না, শব্দে রাসু'র প্রতি অপার অভিমানে, প্রথম প্রতিশ্রুতি ভঙ্গের ভীষণ অভিমানে রুদ্ধ সুস্থির সারদার সকল উপেক্ষাকেসহ যখন রাসু সারদাকে বাহুবেষ্টনীতে নিয়ে নেয়, আর মরিয়ার মতো ডেকে উঠে "বড়বৌ