Skip to main content

Posts

Showing posts from August, 2023

চৈত্রে সংক্রান্তি!

শর্টকার্ট বাজার আর চালু রান্নার চিন্তা নিয়ে বাজারে গেলেও, নজরকাড়া সবুজের কচি পুঁইশাকের টসটসে আঁটিটা দেখে পা যেন ওখানেই আটকে গেলো। প্রথম দেখায় প্রেমে পড়ার মতো। নতুন বাসায় আসার পর, কাঁচা বাজারে এখনো পা রাখা হয়নি। অবশেষে সারাদিন ঘুমিয়ে পেটে যখন ছুঁচোর কের্তন শুরু হলো, উঠে চোখেমুখে পানি দিয়ে, ঝিমাতে ঝিমাতে মানিব্যাগ হাতে নিয়ে গেঞ্জিটা গায়ে চাপিয়ে নীচে নামলাম। মাসের শুরু হলেও, মানিব্যাগের অবস্থা শোচনীয়। ভাবতে লাগলাম কি কেনা যায়, যাতে করে এই মাসে ৩/৪ বার রান্না করা যাবে এই এক বাজারেই। ভাবলাম মুরগী/গরুর মাংস নিয়ে নিব, ল্যাঠা চুকে যাবে। কিন্তু খুব সব্জিটব্জি খেতে ইচ্ছে করলো, সারা সপ্তাহ বিফ/চিকেন খেয়ে মুখে অরুচি চলে আসছে রিতীমতো। সারা মাসে ৩/৪ বার রহস্য হচ্ছে প্রতি সপ্তাহে আমি একদিন রাঁধি, দুইদিন খাই। আর সাধারণত দিনে একবেলা খাই। এখন এই একবেলা খাই শুনে আপনার কল্পিত "ডায়েট"এর ধারণাকে প্রশ্রয় দেবেননা। এটা আসলে রান্নার আলসেমির কারণে। সপ্তাহের ৫ দিন আপিসে লাঞ্চ দেয়, সাথে দেয় টুকটাক নাস্তা, আর যত মন চায় তত চা/কফি। রুটিন এমন হয়েছে যে, খাই কেবল যতক্ষন কাজের মাঝে থাকি। বাসায় ফিরে ঘুম, ঘুম থেক

রিধি'র গোলাপীতোয়ালে

ঢাকাকে সবাই দূর ছাই ভাল্লাগেনা শহর বলে সবসময় হৃদয়ের দূরত্বে রাখলেও, রিধি'র কাছে ঢাকে আপনই লাগে। ওর কাছে মনে হয় হাজার হাজার মানুষের বুকে পুষে থাকার পরও, ঢাকা যেন রিধি'র মতোই ভীষণ নিঃসঙ্গ, একা, বাৎসল্যহীন। মেঘের মতো তাদের জীবনে আসে, জীবনরস আস্বাদন করে, তারপর আবার হাওয়ায় ভেসে চলে যায়। মাঝখানে পরে থাকে কেবল কিছু অনাদর, অবহেলায় ফেলে যাওয়া বাক্সবন্দী স্মৃতি। তবে এই যেমন রিধি বৃষ্টিতে কাদা প্যাচপ্যাচে, নর্দমার আবর্জনা উঠে আসা, গরমে চরমে ওঠা জীবন, ভীড়, রুক্ষ হবার পরও এই ঢাকাকে ভালোবাসে, তেমনি রিধির জীবনেও আছে কিছু ব্যতিক্রম। সম্ভব এই ব্যতিক্রমগুলোই জীবনকে খানিকটা সহনীয় করে তোলে। যদিও " কেন ওরা থেকে যায়? " এই প্রশ্ন বারবার করেও সে এর উত্তর পায়না, তবুও সে পুরোপুরি গ্রগণও করতে পারেনা। একবার তার জীবনে জবরদস্তি ঘাঁটি গড়া এক বুনোফুলট বলেছিলো, " তুমি শূন্যতা বোঝো সই? " রিধি ভ্রু কুঁচকে কতক্ষন ভাবার চেষ্টা করলো, তারপর কোনো কিছু কল্পনা করতে না পেরে জানালো  "না!" বুনোফুল হেসে বলেছিলো, " তা বুঝবে কিভাবে, তুমিতো কাউকে বুকের ভেতরে টানোনি কখনো। সবসময় নিরাপদ দূরত্বে