বাড়িতে থাকলে সবেতেই আলসেমি।
আর অবশ্যই আম্মা ধরে জবজবে করে তেল দিয়ে দেয় মাথায়।
আর অবশ্যই আম্মা ধরে জবজবে করে তেল দিয়ে দেয় মাথায়।
তার এই অদ্ভুত খেয়াল। দিনে কয়েকবার করে এই তেল দেয়ার পরামর্শ শুনতে হয়!
তেল দিয়ে গোসল করলে চুল বেশ ভারী ভারী লাগে। সহজে শুকায়ওনা।
তেল দিয়ে গোসল করলে চুল বেশ ভারী ভারী লাগে। সহজে শুকায়ওনা।
মাথার কাছের জানালার মাঝেরটুকু অল্প খুলে ভরপেটে একমগ কফি হাতে চুলগুলো ছেড়ে হেলান দিয়ে বসলাম।
একখানা গান ছেড়ে পা দোলাতে দোলাতে আয়েশ করে কফিতে চুমুক!
শ্রেয়া ঘোষালের গানটা বাজছে পাশেই।
কেমন মিলে গেলো পরিবেশের সাথে।
বুঝতে পারছি আমাকে একাকীত্ব দখল করছে। এজন্যই আমি নিজেকে নিজের কাছে একা হতে দেইনা, নিজেকে নীরব হতে দেইনা।
একা হওয়া মানেই স্মৃতিরা পেয়ে বসা।
তারপর একে একে শেকলের একেকটা অংশের মতো কাব্যিকতা টেনে আনে তোমাকে।
একটু আগের উষ্ণ মিষ্টি গানটাকেও এখন অসহ্য লাগছে।
একটু আগের উষ্ণ মিষ্টি গানটাকেও এখন অসহ্য লাগছে।
আমাদেরকিছু প্রিয় গানের মাঝে এটা একটা! আমরা দুজনেই প্রায় এরকম গান গাইতাম, প্যারোডি বানাতাম, শানে নুযূল নিয়ে আলাপ করতাম।
মেয়েটাকে কোথায় প্রথম পেয়েছি মনে নেই।
সম্ভবত একদিন, এক মেয়ের আত্মহত্যার প্রসঙ্গে কথায় কথায় রাই বললো, আহা! জীবন কি এর থেকে সুখের হতে পারে?
খেয়াল করলাম জানালা দিয়ে আসা রোদটা ভেজা চুলে বেশ আরাম দিচ্ছে। অনেকটা শীতকালের উষ্ণ শেষ - দুপরের মতো! সেটা উপলব্ধি করতেই কফিতে চুমুক দিতে দিতে আনমনা হয়ে যাচ্ছি...
"আমার ক্লান্ত মন,
ঘর খুঁজেছে যখন,
আমি চাইতাম পেতে চাইতাম ;
শুধু তোমার টেলিফোন"
শরতের এই সময়টা, বিকেলের আগ মুহূর্তটা কেমন নীরব থাকে, যেনো মানুষ, প্রকৃতি সবাই একটু ঝিমিয়ে ঝিমিয়ে কাটাচ্ছে।
আর তুমি এলেই অসহ্য লাগে সবকিছু।
আর অসহ্য হওয়া অস্থিরতার কাছে অসহায়ের মত হার মানতেই আমি নারাজ।
"শ্রান্ত ঘুঘুর ডাক,
ধুলো মাখা বইএর তাক,
যেনো বলছে, বলে চলছে,
থাক অপেক্ষাতেই থাক..."
সেদিন কথা প্রসঙ্গে রাই বলেছিল-
"আমি আমার জীবন থেকে কাউকে হারাতে চাইনা। বেদুইন-রাজকন্যা (আমি) আর রিক্তিকে তাই এখন থেকে সবসময় খেয়ালে রাখবো"
আমি তখন জানতে চাইলাম এই রিক্তিটা কে!
উনার নামটা আমার খুবই পছন্দের। আমি তৎক্ষণাৎ সিদ্ধান্ত নিয়েছিলাম "উনার" পুরা নামে আমার নাতনীর নাম রাখবো।
২১শে ফেব্রুআরি জন্ম বলে তাকে ওর বাবা নাম দিয়েছে রিক্তি!
কিভাবে কিভাবে জানি সখ্যতাও হয়ে যায় মেয়েটার সাথে।
এক দু'দিন তার সাথে কথা না হলে তাকে চোখে হারাই।
অথচ এখন যে বহু বহুদিন ধরে যে তার কোনো সাড়া নেই কোথাও, তবুও দিন অদ্ভুতভাবে ঠিক চলে যাচ্ছে!
Comments
Post a Comment