সময়ের হিসাব হারিয়ে ফেলেছি।
বাইরের আলো এখনো মুছে যায়নি।
সম্ভবত দুপুর গড়িয়ে গেছে।
গোলাগুলির সময় দৌড়াদৌড়িতে আমার দুই বাহুতে গুলি লেগেছে।
বাইরের আলো এখনো মুছে যায়নি।
সম্ভবত দুপুর গড়িয়ে গেছে।
গোলাগুলির সময় দৌড়াদৌড়িতে আমার দুই বাহুতে গুলি লেগেছে।
তবে যদ্দুর বুঝছি চামড়া ছড়ে বেরিয়ে গেছে।
তাতেই ব্যাথায় যন্ত্রণায় চোখে অন্ধকার দেখছি।
ভাবছি যাদের শরীরের গুলি ঢুকেছে তাদের কি অবস্থা।
আশেপাশে তাকালাম, সবাই ঘুমিয়ে আছে।
একপাশে নোরা, এলিন, রিগ্যান, অলিভার, জেনি সবাই এক জাগায় জড়োসড়ো হয়ে একে অন্যের গায়ে হেলান দিয়ে আধশোয়া হয়ে কোনোমতে টিকে আছে।
রিগ্যান আর অলিভারের জন্য দুশ্চিন্তা হচ্ছে।
দুজনেরই গুলি লাগায় রক্তক্ষরণ হয়েছে প্রচুর।
ঘণ্টাখানেক আগে সদ্য পরিবর্তন করা ব্যাডন্ডেজটাও প্রায় রক্তে ভিজে লাল।
তাতেই ব্যাথায় যন্ত্রণায় চোখে অন্ধকার দেখছি।
ভাবছি যাদের শরীরের গুলি ঢুকেছে তাদের কি অবস্থা।
আশেপাশে তাকালাম, সবাই ঘুমিয়ে আছে।
একপাশে নোরা, এলিন, রিগ্যান, অলিভার, জেনি সবাই এক জাগায় জড়োসড়ো হয়ে একে অন্যের গায়ে হেলান দিয়ে আধশোয়া হয়ে কোনোমতে টিকে আছে।
রিগ্যান আর অলিভারের জন্য দুশ্চিন্তা হচ্ছে।
দুজনেরই গুলি লাগায় রক্তক্ষরণ হয়েছে প্রচুর।
ঘণ্টাখানেক আগে সদ্য পরিবর্তন করা ব্যাডন্ডেজটাও প্রায় রক্তে ভিজে লাল।
.
খেয়াল করলাম জেনিকে দেখছিনা কোথাও।
নোরা আর এলিন মোটামুটি অক্ষত থাকায় প্রচুর সাহায্য করেছে ওরা আহতদের যত্ন নিতে।
প্রচন্ড পানির পিপাসা লাগছে। কিন্তু আপাতত চুপচাপ পড়ে থাকা ছাড়া কিছু করবার নেই। অযথা রিস্ক নিয়ে লাভ নেই।
প্রচন্ড পানির পিপাসা লাগছে। কিন্তু আপাতত চুপচাপ পড়ে থাকা ছাড়া কিছু করবার নেই। অযথা রিস্ক নিয়ে লাভ নেই।
পাশে থাকা মা আর সদ্যজাত শিশুটাকে দেখে যেন খানিকটা শক্তি পেলাম নিজের ভেতর।
আহা! কি সুন্দর ঘুমুচ্ছে দুজনেই।
তাদের চেহারায় এমন প্রশান্তি যেন, নিজেদের ঘরের আরামের বিছানায় ঘুমিয়ে। পৃথিবীর কোনো নিগ্রহই যেন তাদের ছোঁয়নি। বাচ্চাটার কপালে হাত বুলিয়ে দিতেই আবছাভাবে মনে হলো কেউ চিৎকার করছে।
আবারও শুনলাম, এবার আরেকটু স্পষ্ট।
"মিহাফ!"
.
ডকটা শুনে আমার কলিজা লাফ দিয়ে যেন গলার কাছে চলে এলো।
মাফিভাই!
উনি আবার ডাকলেন, "মিহাফ। সাড়া দেন প্লিজ। ভয় নেই। এখানে টেরোরিস্টদের কেউ নেই।"
আমি সাড়া দিতে চাইছি।
কিন্তু মাফিভাইএর গলা শুনে যেন হঠাৎ যেন সব শক্তি চলে গেছে আমার।
প্রচন্ড যুদ্ধ করে শক্তি সঞ্চয় করে উঠে দাঁড়ালাম।
"মিহাফ! প্লিজ আওয়াজ দেন... কই আপনি!" উনার গলার স্বরের কাঁপুনি সুস্পষ্ট।
এত নরক যন্ত্রণার মাঝেও আমার ঠোঁটে তৃপ্তির হাসি ফুটে উঠলো।
নিশ্চিত হলাম এই একগুঁয়ে, নির্লিপ্ত, নীতিবিবর্জিত অনুভূতিহীন মানুষটার দূর্বলতার জায়গা হতে পেরেছি!
দেয়াল ধরে ধরে দরজার দিকে এগোচ্ছি।
গুলি লাগা জায়গা গুলোর ব্যাথায় বোধহয় জ্বর চলে এসেছে।
চোখ, মুখ জ্বলছে।
ম্যাটার্নিটি রুমের দরজাটা হাট খুলে গেলো।
হঠাৎ আলো লাগায় চোখ কুঁচকে ফেললাম।
আহা! কি সুন্দর ঘুমুচ্ছে দুজনেই।
তাদের চেহারায় এমন প্রশান্তি যেন, নিজেদের ঘরের আরামের বিছানায় ঘুমিয়ে। পৃথিবীর কোনো নিগ্রহই যেন তাদের ছোঁয়নি। বাচ্চাটার কপালে হাত বুলিয়ে দিতেই আবছাভাবে মনে হলো কেউ চিৎকার করছে।
আবারও শুনলাম, এবার আরেকটু স্পষ্ট।
"মিহাফ!"
.
ডকটা শুনে আমার কলিজা লাফ দিয়ে যেন গলার কাছে চলে এলো।
মাফিভাই!
উনি আবার ডাকলেন, "মিহাফ। সাড়া দেন প্লিজ। ভয় নেই। এখানে টেরোরিস্টদের কেউ নেই।"
আমি সাড়া দিতে চাইছি।
কিন্তু মাফিভাইএর গলা শুনে যেন হঠাৎ যেন সব শক্তি চলে গেছে আমার।
প্রচন্ড যুদ্ধ করে শক্তি সঞ্চয় করে উঠে দাঁড়ালাম।
"মিহাফ! প্লিজ আওয়াজ দেন... কই আপনি!" উনার গলার স্বরের কাঁপুনি সুস্পষ্ট।
এত নরক যন্ত্রণার মাঝেও আমার ঠোঁটে তৃপ্তির হাসি ফুটে উঠলো।
নিশ্চিত হলাম এই একগুঁয়ে, নির্লিপ্ত, নীতিবিবর্জিত অনুভূতিহীন মানুষটার দূর্বলতার জায়গা হতে পেরেছি!
দেয়াল ধরে ধরে দরজার দিকে এগোচ্ছি।
গুলি লাগা জায়গা গুলোর ব্যাথায় বোধহয় জ্বর চলে এসেছে।
চোখ, মুখ জ্বলছে।
ম্যাটার্নিটি রুমের দরজাটা হাট খুলে গেলো।
হঠাৎ আলো লাগায় চোখ কুঁচকে ফেললাম।
এক হাত তুলে আলো ঢাকার চেষ্টায় দরজায় মাফিভাইকে দেখে আমার মনে হলো জীবনে আর কাউকে দেখে কোনোদিন এত প্রশান্তি আসেনি।
একটা কাষ্ঠ হাসি দিয়ে দেয়ালে হেলান দিয়ে দাঁড়ালাম।
একটা কাষ্ঠ হাসি দিয়ে দেয়ালে হেলান দিয়ে দাঁড়ালাম।
.
চোখের পলক না ফেলতেই আবিষ্কার করলাম শক্ত বাহুবন্ধনে আবদ্ধ হয়ে গেছি।
ঘটনার আকস্মিকতায় হকচকিয়ে গেলাম।
আমি জানি উনার ভেতরে কতটা তোলপাড় চলেছে।
কিন্তু তার এতটুকুও এভাবে প্রকাশ করবে কোনোদিন , স্বপ্নেও ভাবিনি।
মাফি ভাইয়ের হৃদস্পন্দ কানের এত কাছে যে মনে হচ্ছে উনার বুকের ভেতরে ড্রাম পেটাচ্ছে।
আমার মাথায় মুখ খুঁজে মাফিভাই আবার ডাকলেন মৃদুস্বরে, কাঁপা গলায়... মিহাফ!
ব্যাথাওয়ালা দুই হাত বহুকষ্টে তুলে উনার দুই ঘাড়ের কাছটা যতটুকু সম্ভব আঁকড়ে ধরলাম।
যেন ভয় পাচ্ছি ছেড়ে দিলেই আবার সেই নরকে পতিত হবো।
চোখের পানিও বাঁধ ভেঙেছে।
কাঁপা গলায় বললাম, "আমি ঠিক আছি।"
মাফিভাই আরো শক্ত করে ধরলেন যেন পারলে আমাকে মিশিয়ে ফেলেন নিজের সাথে।
আবারো ডাকলেন আমাকে "মিহাফ!"
যেন নিশ্চিত হতে চাইছেেন আমি যে জীবন্তই আছি।
আহ! এই অনুভূতি!
মাফি ভাইয়ের হৃদস্পন্দ কানের এত কাছে যে মনে হচ্ছে উনার বুকের ভেতরে ড্রাম পেটাচ্ছে।
আমার মাথায় মুখ খুঁজে মাফিভাই আবার ডাকলেন মৃদুস্বরে, কাঁপা গলায়... মিহাফ!
ব্যাথাওয়ালা দুই হাত বহুকষ্টে তুলে উনার দুই ঘাড়ের কাছটা যতটুকু সম্ভব আঁকড়ে ধরলাম।
যেন ভয় পাচ্ছি ছেড়ে দিলেই আবার সেই নরকে পতিত হবো।
চোখের পানিও বাঁধ ভেঙেছে।
কাঁপা গলায় বললাম, "আমি ঠিক আছি।"
মাফিভাই আরো শক্ত করে ধরলেন যেন পারলে আমাকে মিশিয়ে ফেলেন নিজের সাথে।
আবারো ডাকলেন আমাকে "মিহাফ!"
যেন নিশ্চিত হতে চাইছেেন আমি যে জীবন্তই আছি।
আহ! এই অনুভূতি!
সময় থেমে যাক!
কারণ জানি কালই আবার তিনি সেই রুদ্র কঠিন নির্লিপ্ত ভাবে ফিরে যাবে!
ভাগ্যিস এমন একটা দূর্ঘটনা ঘটলো।
নইলে এই ভদ্রলোক কোনোদিন তার অনুভূতির ছিঁটেফোঁটাও দেখাতো না।
নিজের হাস্যকর চিন্তায় নিজেই হাসলাম।
এরপর আর কিছু মনে নাই।
ভাগ্যিস এমন একটা দূর্ঘটনা ঘটলো।
নইলে এই ভদ্রলোক কোনোদিন তার অনুভূতির ছিঁটেফোঁটাও দেখাতো না।
নিজের হাস্যকর চিন্তায় নিজেই হাসলাম।
এরপর আর কিছু মনে নাই।
<3 নেক্সট পার্ট কবে আসবে?
ReplyDeleteওয়াও!!! থ্যাঙ্কিউ ফর রিডিং🤧
Deleteচেষ্টা করবো আরো লেখার, আগ্রহী পাঠক থাকলে।