আমরা বাঙালিরা স্নেহের-দোহাই'কে এমন আতিশয্য দেবত্ব দান করেছি যে, সেটা প্রকাশ করবার সময় ছাতি দু'হাত ফুলিয়ে বলি যেন এক জন্মের অর্জন। তাতে অসুবিধে কোনো নেই। আপনি স্নেহের আঁকড়িতে সুখ, স্বাচ্ছন্দ্যে আছেন থাকুন। কিন্তু অন্য কেউ দ্বিমত পোষণ করলেই সেটা বেদবাক্যের অবমাননা কেনো হবে! আমি যখনই বলেছি এই অতিরঞ্জিত, মাত্রাহীন, নির্লজ্জ, স্বার্থপর, চতুর্মাত্রিক ভালবাসাটা আমার কাছে ভীষণ অসহনীয় লাগে, সাথে সাথেই আবেগী লোকজন তেজোদ্দীপ্ত আবেগের আতিশয্যে হাঁহাঁহাঁ করে ছুটে এসে আমায় পাষাণী, হৃদয়হীনা, স্বার্থপর বলে তালিকাভুক্ত করে ফেলে! কিন্তু ভালবাসা অসুস্থ না হয়ে সুস্থও হয় হে সুজন। যদিও তা প্রায় "বিরল" তবে ডাইনোসরদের মত একেবারে লুপ্ত নয়! আমি বিখ্যাত কিম্বা কুখ্যাত কেউ নই বলে ভবঘুরে জীবনের তাৎপর্য নিয়ে আমার অকাট্য যুক্তি বাকোয়াজ বলে উড়িয়ে দেয়ার প্রচেষ্টা থাকে। আমি যদি Gibran Khalil এর দ্বারস্থ হয়ে তার থেকে ব্যাখ্যা করে, আতেঁল বলে কটাক্ষ শুনি। এদ্দিনে অবশেষে এক প্রাণের বান্ধব পেলাম যিনি কিনা একইসাথে খাপে-খাপ-মনসুরের-বাপ ধাঁচে পুরো ব্যাপারটা তরল বাংলায় বলে দিলেন, সাথে আবার তিনি অবিখ্যাতও নন!...