এই মুহূর্তে খুবই হতবিহ্বল একটা অবস্থায় বসে আছি। আশেপাশের লোকজন আমার দিকে অত্যন্ত সন্দেহের দৃষ্টিতে তাকাচ্ছে। কেউকেউতো যেন এসে ধরে মারবে এমন ভাবভঙ্গি। কারণ আমার পাশে এক ভদ্রমহিলা কাঁদছে। আর আমি আরেকদিকে মুখ ফিরিয়ে বসে আছি! শিট!! ভদ্র...মহিলা...! মহিলা কেন বলছি! আচ্ছা... কিন্তু তাহলে কি হবে! ভদ্র... বালিকা? কিন্তু এইটা জানি কেমন। ভয়াবহ গুরুচন্ডালী দোষে আক্রান্ত! ধু*** কোত্থেকে কি ভাবতে ভাবতে কই চলে যাচ্ছি। মোহিনী কাঁদছে। ফ্যাঁচফ্যাঁচ করে। কি অদ্ভুতভাবে কাঁদছে! মেয়েমানুষ কাঁদবে মায়াবী, করুণ স্বরে; রায়া যেভাবে কাঁদে! কোনোই মেয়েলি আবহ কি এই মেয়ের মাঝে নাই! এই দ্যাখো আবার চিন্তার খেই হারাচ্ছি ভেবে কষে নিজেকে গালি দিলাম, অবশ্যই মনে মনে! কিন্তু এই মুহূর্তে আমার নিজেকে বেশ অসহায় লাগছে কারণ এই ভদ্র... মানে মোহিনী যে কাঁদতে পারে বা কাঁদতে জানে এই ব্যাপারটাই আমার কাছে অষ্টমাশ্চর্যের ব্যাপার! মানে এই মেয়ে হলো এমন যে, দূর্দশার সামনে সে নিজেই একটা জলজ্যান্ত দুঃস্বপ্ন, পরিণামের সামনে সে নিজেই একটা আতঙ্ক, গুলিস্তানের হেল্পারও তাকে ভয় পায়! সে পারেনা এ...